জাতিসংঘ (UNITED NATIONS) সম্পর্কিত ৫০ টি প্রশ্নে


১. জাতিসংঘ গঠনের প্রধান উদ্যোক্তা কে?—
উত্তরঃ-মার্কিন প্রেসিডেন্ট এফডি রুজভেল্ট।
২. জাতিসংঘ এর নামকরণ করেন কে?—
উত্তরঃ-মার্কিন প্রেসিডেন্ট এফডি রুজভেল্ট।
৩. জাতিসংঘের নামকরণ করা হয় কবে?—
উত্তরঃ-১ জানুয়ারি, ১৯৪২।
৪. জাতিসংঘের সচিবালয়ের প্রধান কে?
উত্তরঃ-মহাসচিব।
৫. জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তরঃ-নিউইয়র্ক,যুক্তরাষ্ট্র
৬. জাতিসংঘের ইউরোপীয় র্কাযালয় কোথায়?
উত্তরঃ-জেনেভা,সুইজারল্যান্ড।
৭. জাতিসংঘের সদর দপ্তরের জায়গাটি কে দান করেন?
উত্তরঃ-জন ডি রকফেলার জুনিয়র।
৮.জাতিসংঘের সদর দপ্তরের স্থপতি—
উত্তরঃ-ডব্লিউ হ্যারিসন।
৯.জাতিসংঘের সনদ স্বাক্ষরিত হয় কবে —
উত্তরঃ-২৬জুন,১৯৪৫ সালে।
১০. জাতিসংঘ সনদ কার্যকরী হয় কবে থেকে—
উত্তরঃ-২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫।
১১.জাতিসংঘের সনদের রচয়িতা—
উত্তরঃ-আর্চিবাল্ড ম্যাকলেইশ (Archibald Macleish)।
১২.প্রতিবছর জাতিসংঘ দিবস পালিত হয়—
উত্তরঃ-২৪শে অক্টোবর।
১৩. জাতিসংঘের প্রত্যেক সদস্য দেশ কোন পরিষদের সদস্য?
উত্তরঃ-সাধারণ পরিষদের।
১৪. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রধানকে কি বলে
উত্তরঃ-সভাপতি।
১৫. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় কোথায়?
উত্তরঃ-লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার হলে।
১৬. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি কত বছরের জন্য নির্বাচিত হয়?
উত্তরঃ-১ বছরের জন্য।
১৭. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নিয়মিত বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয়?
উত্তরঃ-সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার।
১৮. নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রের মোট সংখ্যা কত?
উত্তরঃ-১৫টি।
১৯. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র কতটি?
উত্তরঃ-৫টি ( চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র)।
২০. নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন কতবার জাতিসংঘের সদরদপ্তরের ছাড়া অন্যত্র অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-২বার।
২১. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য কত বছরের জন্য নির্বাচিত হয়?
উত্তরঃ-২ বছরের জন্য।
২২. নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি কত বছরের জন্য নির্বাচিত হয়?
উত্তরঃ-১ মাসের জন্য।
২৩. নিরাপত্তা পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কমপক্ষে কতটি সদস্য দেশের সম্মতির
প্রয়োজন হয়?
উত্তরঃ-৯টি(৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রসহ অতিরিক্ত ৪টি সদস্য রাষ্ট্রের)।
২৪. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধিবেশন সাধারণত বছরে কয়বার বসে?
উত্তরঃ-বছরে দু’বার একমাস ব্যাপী।
২৫.অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য কত বছরের জন্য নির্বাচিত হয়?
উত্তরঃ-৩ বছরের জন্য।
২৬. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য দেশ কয়টি?
উত্তরঃ-৫৪টি।
২৭. প্রতিবছর কয়টি রাষ্ট্র তিন বছর মেয়াদে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়?
উত্তরঃ-১৮টি।
২৮. আন্তর্জাতিক আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ-২৪শে অক্টোবর,১৯৪৫ সালে।
২৯. আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ-১৫ জন।
৩০. আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকের মেয়াদকাল?
উত্তরঃ-৯ বছর।
৩১. জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা কয়টি ?
উত্তরঃ-৬টি (ইংরেজি, আরবি, ফারসি, চীনা, রুশ ও স্প্যানিশ)।
৩২. জাতিসংঘের বাজেট কোন পরিষদে ঘোষিত হয়?
উত্তরঃ-সাধারণ পরিষদে।
৩৩. জাতিসংঘ সনদে প্রথমে কতটি দেশ স্বাৰর করে?
উত্তরঃ-৫১টি দেশ।
৩৪. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে ছিলেন?
উত্তরঃ-ট্রাইগভে লাই (নরওয়ে) (১৯৪৬-১৯৫২)।
৩৫. জাতিসংঘ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারিগণ তাদের কাজকর্মের ভাষা হিসেবে কোন ভাষা ব্যবহার করেন?
উত্তরঃ-ইংরেজি অথবা ফরাসি।
৩৬. জাতিসংঘের কোন মহাসচিব.শান্তিতে মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার পান কে?
উত্তরঃ-দ্যাগ হ্যামারশোল্ড (১৯৬১ সালে)।
৩৭. আয়তনে জাতিসংঘের ছোট দেশ কোনটি?
উত্তরঃ-মোনাকো। (১.৯৫ বর্গ কি.মি.)।
৩৮.জনসংখ্যায় জাতিসংঘের ছোট দেশ কোনটি?
উত্তরঃ-ট্রুভ্যালু।
৩৯. কোন দেশ প্রথমে জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর না করেও জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়?
উত্তরঃ-পোল্যান্ড।
৪০. জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ-টোকিও(জাপান)।
৪১. জাতিসংঘের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা কে?
উত্তরঃ-মহাসচিব।
৪২. অছি পরিষদ কার অধীনে কাজ করে?
উত্তরঃ-সাধারণ পরিষদের।
৪৩. জাতিসংঘের কোন মহাসচিব বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান?
উত্তরঃ-দ্যাগ হ্যামারশোল্ড (সুইডেন,১৯৬১)।
৪৪. জাতিসংঘের সদর দপ্তরটি কত একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত?
উত্তরঃ-১৭ একর।
৪৫. জাতিসংঘের আয়ের মূল উৎস কী?
উত্তরঃ-সদস্য দেশসমূহের চাঁদা।
৪৬. জাতিসংঘের মহাসচিব কোন পরিষদের সুপারিশে নিযুক্ত হন?
উত্তরঃ-নিরাপত্তা পরিষদের।
৪৭. জাতিসংঘের একমাত্র মুসলমান মহাসচিব কে?
উত্তরঃ-কফি আনান (ঘানা) (৭ম)।
৪৮. উ থান্ট কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
উত্তরঃ-মিয়ানমার।
৪৯. জাতিসংঘে দেয় বাংলাদেশের চাঁদার পরিমাণ কত?
উত্তরঃ-নিজস্ব বাজেটের ০.০১% অংশ।
৫০. বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম অধিবেশনে সদস্য পদ লাভ করে?
উত্তরঃ-২৯তম।

মশা সম্পর্কে ১০টি অজানা মজার তথ্য



.মশার প্রায় ,৫০০ প্রজাতি আছে। এর মধ্যে অল্প কিছু প্রজাতিই কেবল মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীকে কামড়ায়। বাকিরা নির্ভর করে ফুলের মধুর উপর! শুনতে অদ্ভুত লাগলেও তা সত্যি! মশাও ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে!

.মশার গান শুনেন নি এমন মানুষ পাওয়া যাবেনা। মশা কানের কাছে আসলে আমরা যে শব্দ শুনি তা মূলত মশার ডানা ঝাপটানোর শব্দ। একটি মশা সেকেন্ডে প্রায় ৩০০-৬০০ বার ডানা ঝাপটাতে পারে। আর অতি অল্প সময়ে এতবার ডানা ঝাপটানোর দরুনই আমরা গুনগুন শব্দ শুনতে পাই।

.কোন মশা যদি আপনাকে কামড়িয়ে থাকে তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারে যে সেটা স্ত্রী মশা! কেবলমাত্র স্ত্রী মশাই মানুষকে কামড়ায়। মানুষের রক্ত ভালো প্রোটিনের উৎস, আর স্ত্রী মশার সেটা দরকার পরে তার ডিমের জন্যে। আর পুরুষ মশারা আপনার চারপাশে থেকে আপনাকে ব্যতিব্যস্ত রাখবে যাতে স্ত্রী মশাটি নির্বিঘ্নে রক্ত শুষে নিতে পারে।

.একটি মশা ঘণ্টায় প্রায় -. মাইল বেগে উড়ে যেতে সক্ষম ! শুনে চমকাবার কিছু নেই, অন্যান্য কীটপতঙ্গের গতির চেয়ে এই গতি আহামরি তেমন কিছুনা, তুলনামূলক অনেক কমই বলা যেতে পারে।

.আপনার মতে পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণী কোনটি? উত্তর যদি হয়ে থাকে মশা ছাড়া অন্য কিছু তাহলে নিঃসন্দেহে ধরে নিতে পারেন যে আপনার ধারণা ভুল। পৃথিবীর সবচাইতে মারাত্মক প্রাণী মশা। প্রতিবছর মশার কারণে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

.মশা অতি অল্প সময়েই কামড়ানোর উপযোগী হয়ে উঠে। ডিম থেকে বের হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যেই এটি পূর্ণবয়স্ক মশার মত আচরণ করতে শুরু করে।

.অনেক সময় খেয়াল করবেন আপনার সাথেই থাকা অনেকজনের মধ্যে কোন একজনকে মশা তুলনামূলক একটু বেশিই কামড়াচ্ছে। এর কারণ তার মধ্যে এমন কিছু আছে যা মশাদেরকে তাকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করে। মশা গায়ের গন্ধ, নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ত্যাগ করা কার্বন-ডাই অক্সাইড থেকে কামড়ানোর জন্যে উপযোগী মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীকে শনাক্ত করে। অনেক সময় চেহারা দেখার মাধ্যমেও শনাক্ত করতে পারে। যদিও তাদের দর্শন শক্তি তেমন একটা উন্নত না। নিয়মিত গোসল না করলে, অতিরিক্ত ঘামলে, শরীরের উত্তাপ বেশি হলে মশা কাউকে সহজেই ভিক্টিম হিসেবে চিহ্নিত করে নিতে পারবে।

.মশারা মূলত বদ্ধ জলাশয়ে কিংবা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে ডিম পাড়ে। বাড়িতে কোন জায়গায় অল্প পরিমাণে পানি দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকলে সেটা হয়ে উঠতে পারে মশার জন্যে ডিম পাড়ার উত্তম স্থান।

.অনেক মশাই আছে যারা শিকার হিসেবে মানুষ ভিন্ন অন্য কোন প্রাণীকে নির্বাচন করে। সেটা পাখিও হতে পারে !

১০.মশার যে স্থানে কামড়ায় সেইস্থান ফুলে যায় এবং অপেক্ষাকৃত লাল হয়ে যায়। মানুষের নিজস্ব প্রতিরোধক ব্যবস্থা আছে। অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহ বন্ধ করার জন্যে মানুষের শরীর নিজস্বভাবে রক্ত জমাট করার প্রক্রিয়া তৈরি করে। কিন্তু রক্ত শুষে নেয়ার সময় যদি রক্ত জমাট বেধে যায় তাহলে মশার পক্ষে সে রক্ত শুষে নেয়ার সম্ভব হবেনা। সেজন্যে মশারা স্যালাইভা নামে এক জাতীয় প্রোটিন প্রবেশ করিয়ে দেয় মানুষের শরীরে, যা কিনা রক্তের জমে যাওয়া প্রতিরোধ করে। আর এই স্যালাইভার জন্যেই আক্রান্ত স্থান ফুলে লাল হয়ে।

সপ্তাহে কেন সাতটি দিন?



প্রশ্নটি যদি বিশুদ্ধ বাংলাতেই করা হয়ে থাকে যে, ‘সপ্তাহে কেন সাতটি দিন?’ তাহলে, জবাবে বলতে হয় যে, সপ্তাহে সাতটি দিন হবে সেটাই কি স্বাভাবিক নয়? কারণ, বাংলা ব্যাকরণ অনুসারে, আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে- সমাসের নিয়মানুসারে, ‘সপ্তাহ’ এর ব্যাসবাক্য হচ্ছে ‘সপ্ত অহের (দিনের) সমাহার’। সে হিসেবে বলতে গেলে তো সপ্তাহে সাত দিনই থাকবে।

ইংরেজি ‘উইক’ (বাংলা অনুবাদে সপ্তাহই বলতে হচ্ছে) বলতেই যে, বর্তমান কালের সাত দিনের সমষ্টি বোঝায়- তা কিন্তু নয়। প্রাচীন কালে নানা দেশে নানা কালে আট দিনের সপ্তাহ, নয় দিনের সপ্তাহ এমনকি দশ দিনের সপ্তাহও প্রচলিত ছিলো। আবার ওদিকে ছয় দিনের সপ্তাহ বা পাঁচ দিনের সপ্তাহও কোথাও কোথাও প্রচলিত ছিলো।

প্রাচীন রোমে ‘আট দিনের’ সপ্তাহ চালু ছিলো। আমাদের এখনকার মতোই সাত দিন, আর অতিরিক্ত একটা দিন বরাদ্দ ছিলো বিকি-কিনি করবার জন্যে। বেচা-কেনা করবার এই দিনটি ‘হাটবার’ নামে পরিচিত ছিলো। পরে অবশ্য খ্রিস্টান অধ্যুষিত হবার পর রোমানদের ওখানে নতুন ক্যালেন্ডার চালু হয়, আর খ্রিস্ট-ধর্মের প্রভাবে হাটবার বাদ দিয়ে সাত দিনেই সপ্তাহ নির্ধারিত হয়। ৩২১ খ্রিস্টাব্দে রোমান সম্রাট কন্সট্যান্টাইন এই নতুন ক্যালেন্ডার চালু করে সপ্তাহের দিন সংখ্যা ৭ এ নির্দিষ্ট করেন।

ঘুরে-ফিরে দেখা যাচ্ছে, সপ্তাহের মূল ধারণাটা সাত দিনকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে। কী গ্রিক, কী ভারতীয় কিংবা অন্য কোনো সভ্যতা, প্রায় সব ধরনের পৌরাণিক শাস্ত্রমতে, ‘সাত’ সংখ্যাটি কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলে কিন্তু পৌরাণিক কোনো বিশ্বাসজনিত কারণে সপ্তাহে সাতটি দিন রাখা হয়েছে- এমনটি নয়। বরং, ক্যালেন্ডার তৈরি করতে গিয়ে প্রাচীন গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যে নিখুঁত হিসেব-নিকেশ করেছেন, তারই একটি অংশ হিসেবে সপ্তাহের দিন সংখ্যা ৭ এ এসে দাঁড়িয়েছে।

ইতিহাস :
পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায়, সর্বপ্রথম ব্যাবিলনীয় সভ্যতার লোকেরা সময়ের হিসাব রাখা শুরু করে। অর্থাৎ, ক্যালেন্ডার প্রচলনের ইতিহাস ব্যাবিলনীয় সভ্যতা থেকে। তারা দিন ও মাসের হিসাব রাখতো মূলত চাঁদের গতিবিধি দেখে।

সূর্যের তুলনায় চাঁদের গতিবিধি দেখে মাসের হিসাব রাখা অনেক সহজ। কারণ, চাঁদের আকৃতি সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। কখনো এক ফালি চাঁদ, কখনো জোছনামাখা ভরাট পূর্ণিমা আবার কখনো অমাবস্যার রাতে সম্পূর্ণভাবে তিরোধান! চাঁদের এই ঘটনাগুলো আবার প্রায় ৩০ দিন পর পর পুনরাবৃত্ত হতে থাকতো। অনেক অনেক দেখে-শুনে প্রাচীন ব্যাবিলনীয়রা চাঁদের গতিবিধির এই কারসাজি বুঝে গেলো এবং চাঁদের উপর ভিত্তি করে মাস গণনা শুরু করলো।

হিসাবের সুবিধার জন্য প্রতিটি চান্দ্রমাসকে আবার চন্দ্রকলার [1] ভিত্তিতে কয়েকটি সময়কালে বিভক্ত করা হলো। যেমন:

১। প্রথম দিন: চাঁদ মাত্রই উঠলো। একদম এক ফালি চাঁদ। পশ্চিমাকাশে খুব সূক্ষ্মভাবে তাকালে দেখা যায়।

২। সপ্তম দিন: চাঁদের আকার বাড়তে বাড়তে অর্ধগোলকে পরিণত হয়।

৩। চতুর্দশ দিন: চাঁদের আকার বাড়তে বাড়তে পূর্ণ গোলকে পরিণত হয়। চার দিকে ঝলমলে স্নিগ্ধ আলো ছড়ায় এই পূর্ণিমা চাঁদ। এর পর থেকেই চাঁদের আকার ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে।

৪। একবিংশ দিন: চাঁদের আকার কমতে কমতে আবার অর্ধেকে এসে দাঁড়ায়।

৫। অষ্টবিংশ দিন: চাঁদের আকার ছোট হতে হতে একেবারে সূক্ষ্ম সুতার মতো হয়ে দাঁড়ায়।

৬। উনত্রিংশ দিন: আকাশে আর চাঁদ দেখা যাচ্ছে না। অমাবস্যার রাত এটি। অধিদিবস (leap day)

৭। ত্রিংশ দিন: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আজও চাঁদ দেখা যাচ্ছে না। তবে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই দিন নতুন চাঁদের উদয় হয়। চাঁদ দেখা না গেলে আমরা এ দিনটিকেও অধিদিবস (Leap Day) বিবেচনা করতে পারি।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ৭ দিন পর পর চাঁদ একেকটা নতুন এবং চোখে পড়ার মতো দশায় পৌঁছুচ্ছে। তাই, এই ৭ দিন সময়কে চিহ্নিত করে সপ্তাহের উদ্ভব হলো।  প্রচলিত ক্যালেন্ডারগুলোতে প্রতি ‘week’ এ সাত দিন থাকার এটাই মূল কারণ।

কিভাবে এবং কি কারণে হল সাত মহাদেশের নাম

বিশ্বের বিভিন্ন দেশসমূহের নাম যেমন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এসেছে ঠিক তেমনি মহাদেশগুলোর নামকরণও বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে করা হয়েছে। সেই নামগুলো বিশ্বে এখন পরিপূর্ণভাবে প্রচলিত।চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যেভাবে হল সাত মহাদেশের নামঃ-


. এশিয়া

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মহাদেশ এশিয়ার নামকরণ করা হয়েছেআসিরিয়ানবাআসুশব্দ থেকে। রোমান সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের নাম ছিল আসিরিয়ান, আর সেই নাম থেকেই মহাদেশের নামকরণ করা হয়েছেএশিয়া

. ইউরোপ

ইউরোপ মহাদেশের নামকরণ কিভাবে হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় ইউরোপে প্রচুর মালভূমি আছে আর এই মালভূমিকে নির্দিষ্ট করতে মহাদেশের নাম রাখা হয়েছে ইউরোপ।

.আফ্রিকা

আফ্রিকা মহাদেশের নামকরণ করা হয়েছে সেখানের বর্বর এক জাতির নামানুসারে। প্রথম দিকে আফ্রিকা নামে একটি প্রদেশের নামকরণ করা হয়। পরে এই নাম পুরো মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে মহাদেশ আফ্রিকা নামে পরিচিতি পায়।

. উঃ আমেরিকা .দঃ আমেরিকা

আমেরিকা মহাদেশের নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত পর্যটক আমেরিগো ভেসপুচির নামানুসারে। বিখ্যাত এই পর্যটক জন্মগ্রহণ করেন ১৪৫২ সালে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৫১২ সালে। বিখ্যাত পর্যটকের নাম থেকে আমেরিকা মহাদেশের নামকরণ করার পর আমেরিকাকে উত্তর দক্ষিণ ভাগে ভাগ করা হয়। ফলে উত্তর আমেরিকা দক্ষিণ আমেরিকা নামে দুটি মহাদেশের জন্ম হয়।

. অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নামকরণ করা হয়েছে ল্যাটিন শব্দঅস্ট্রেলিসথেকে।অস্ট্রেলিস শব্দের শাব্দিক অর্থ পূর্বাঞ্চলীয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে এই মহাদেশ গঠিত বলে একে অস্ট্রেলিয়া বলা হয়। দ্বীপ বেষ্টিত অস্ট্রেলিয়া মহাদেশকে আবার ওশেনিয়াও বলা হয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়াকে ওশেনিয়া নামটি দিয়েছিলেন বিখ্যাত ভূগোলবিদ কনরাড মাল্ট-ব্রন।

.এন্টার্কটিকা

বরফ আচ্ছাদিত মহাদেশ এন্টার্কটিকার নাম এসেছে গ্রিক শব্দ আর্কটিক থেকে। আর্কটিক শব্দের গ্রিক অর্থ ভালুক। এন্টার্কটিকা মহাদেশটিগ্রেট বিয়ারনক্ষত্রপুঞ্জের নিচে অবস্থিত বলে এই মহাদেশের নামকরণ এমন করা হয়েছে। এছাড়াও এন্টার্কটিকা মহাদেশে প্রচুর পরিমাণে সাদা ভালুক দেখতে পাওয়া যায়।

অবাক করা কিছু মজার তথ্য জেনে নিন।



1) ডলফিন এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।

2) আপেল খেতে যতই স্বাদ লাগুক, আপেলের ৮৪ ভাগই জল।

3) মাত্র যিনি কলা খেলেন তার প্রতি মশার আকর্ষণ বেশী

4) এক কাপ কফিতে ১০০-এরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ আছে।

5) এক ঘণ্টা চুইংগাম চাবালে শরীরে ৩০ ক্যালরি তাপ ক্ষয়।

6) গরুকে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠানো যায় কিন্তু নিচে নামানো যায় না

7) চিংড়ি শুধু পিছনের দিকে সাঁতার দিতে পারে।

8) চোখ খোলা রেখে ব্যাঙ কোন কিছু গিলতে পারে না।

9) জলের হাতি বা জলহস্তি জলের নিচে ৩০ মিনিট দম বন্ধ করে থাকতে পারে।

10) যখন চাঁদ সরাসরি মাথার উপর, তখন আপনার ওজন সবচেয়ে কম।

11) অক্টোপাসের দেহে তিনটি হৃদপিণ্ড আছে।

12) তোমার মতোই শিম্পাঞ্জিরাও হ্যান্ডশেক করে ভাব বিনিময় করে!

13) এক পাউন্ড বিশুদ্ধ তুলা থেকে ৩৩ হাজার মাইল লম্বা সুতা তৈরি সম্ভব !

14) পিঁপড়ার ঘ্রাণশক্তি কুকুরের চেয়ে বেশী।

15) পেঙ্গুইন একমাত্র পাখি যে সাঁতার কাটতে পারে কিন্তু উড়তে পারেনা।

16) পৃথিবীতে যে পরিমান সোনা আছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী ঢেকে দিলে হাঁটু পরিমান উচ্চতা হবে।

17) পৃথিবীতে যত লিপস্টিক আছে, তার বেশির ভাগই তৈরি হয় মাছের আঁশ।দিয়ে।

18) প্রজাপতির চোখের সংখ্যা ১২ হাজার!

19) ফড়িংয়ের কান মলে দিতে চাইলে কিন্তু একটু সমস্যা হবে। কারণ ফড়িংয়ের কান হাঁটুতে!

20) মাছেরও কাশি হয়।

21) মৌমাছির চোখ পাঁচটি।

22) মশার দাঁত ৪৭ টি।

23) শামুক পা দিয়ে নি:শ্বাস নেয়। শামুকের নাক চারটি

24) শরীরের পেছন দিক দিয়েও নিঃশ্বাস নিতে পারে কচ্ছপ।

25) হাতি একমাত্র স্তন্যপায়ী, যারা লাফ দিতে পারে না।

26) বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের রঙ হালকা হয়ে যায়।

27) গড়ে একজন মানুষের চোখ বছরে ৪২লাখ বার পলক ফেলে।

28) মানবদেহে সবচেয়ে দীর্ঘ জীবন্ত কোষ হলো মস্তিস্কের কোষ (নিউরন)

29) হাতের নখ, পায়ের নখের চেয়ে চারগুন দ্রুত বাড়ে।

30) মানবদেহের মোট হাড়ের / অংশ পায়ে অবস্থিত!

31)প্রতি মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রে ৬জন সতেরোতে পা দেয়।

32) আপনি চোখ খুলে কখনোই হাঁচি।দিতে পারবেন না। বিশ্বাস না হলে এক্ষুণি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

33) আপনি কখনো আপনার কনুই কামড়

দিতে পারবেন না চেষ্টা করে দেখুন!

34) গ্যালিলিও দূরবীন আবিষ্কার করার।আগে মানুষ খালি চোখে আকাশে মাত্র পাঁচটি গ্রহ দেখতে পেতো!

35) আমরা তো গাছ থেকে সহজেই খাবার পাই। কিন্তু আমরা জানি কি এক পাউন্ড খাবার তৈরি করতে গাছের প্রায় ১০০ পাউন্ড বৃষ্টির জল খরচ করতে হয়