কিভাবে এবং কি কারণে হল সাত মহাদেশের নাম

বিশ্বের বিভিন্ন দেশসমূহের নাম যেমন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এসেছে ঠিক তেমনি মহাদেশগুলোর নামকরণও বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে করা হয়েছে। সেই নামগুলো বিশ্বে এখন পরিপূর্ণভাবে প্রচলিত।চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যেভাবে হল সাত মহাদেশের নামঃ-


. এশিয়া

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মহাদেশ এশিয়ার নামকরণ করা হয়েছেআসিরিয়ানবাআসুশব্দ থেকে। রোমান সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের নাম ছিল আসিরিয়ান, আর সেই নাম থেকেই মহাদেশের নামকরণ করা হয়েছেএশিয়া

. ইউরোপ

ইউরোপ মহাদেশের নামকরণ কিভাবে হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় ইউরোপে প্রচুর মালভূমি আছে আর এই মালভূমিকে নির্দিষ্ট করতে মহাদেশের নাম রাখা হয়েছে ইউরোপ।

.আফ্রিকা

আফ্রিকা মহাদেশের নামকরণ করা হয়েছে সেখানের বর্বর এক জাতির নামানুসারে। প্রথম দিকে আফ্রিকা নামে একটি প্রদেশের নামকরণ করা হয়। পরে এই নাম পুরো মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে মহাদেশ আফ্রিকা নামে পরিচিতি পায়।

. উঃ আমেরিকা .দঃ আমেরিকা

আমেরিকা মহাদেশের নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত পর্যটক আমেরিগো ভেসপুচির নামানুসারে। বিখ্যাত এই পর্যটক জন্মগ্রহণ করেন ১৪৫২ সালে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৫১২ সালে। বিখ্যাত পর্যটকের নাম থেকে আমেরিকা মহাদেশের নামকরণ করার পর আমেরিকাকে উত্তর দক্ষিণ ভাগে ভাগ করা হয়। ফলে উত্তর আমেরিকা দক্ষিণ আমেরিকা নামে দুটি মহাদেশের জন্ম হয়।

. অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নামকরণ করা হয়েছে ল্যাটিন শব্দঅস্ট্রেলিসথেকে।অস্ট্রেলিস শব্দের শাব্দিক অর্থ পূর্বাঞ্চলীয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে এই মহাদেশ গঠিত বলে একে অস্ট্রেলিয়া বলা হয়। দ্বীপ বেষ্টিত অস্ট্রেলিয়া মহাদেশকে আবার ওশেনিয়াও বলা হয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়াকে ওশেনিয়া নামটি দিয়েছিলেন বিখ্যাত ভূগোলবিদ কনরাড মাল্ট-ব্রন।

.এন্টার্কটিকা

বরফ আচ্ছাদিত মহাদেশ এন্টার্কটিকার নাম এসেছে গ্রিক শব্দ আর্কটিক থেকে। আর্কটিক শব্দের গ্রিক অর্থ ভালুক। এন্টার্কটিকা মহাদেশটিগ্রেট বিয়ারনক্ষত্রপুঞ্জের নিচে অবস্থিত বলে এই মহাদেশের নামকরণ এমন করা হয়েছে। এছাড়াও এন্টার্কটিকা মহাদেশে প্রচুর পরিমাণে সাদা ভালুক দেখতে পাওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন