সুস্থ থাকতে মানুষ কিনা করছে। শরীর চর্চা থেকে শুরু করে অপারেশন পর্যন্ত। আসলে মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চায়। তবে সুস্থভাবে অনেকদিন বেঁচে থাকার জন্য এতকিছু করার প্রয়োজনই নেই। যে জিনিসটা করা প্রয়োজন হল আমাদের দৈনন্দিন রুটিন টা পরিবর্তন করা। সমান্য কিছু সচেতনাই পারে আমাদের সুস্থ রাখতে ও পারেন দীর্ঘদিন বাচতে।
সুস্থ থাকতে
ও বেশিদিন বাচতে যা করবেন:-
১.
ঠিক মতো ঘুমান
দিনে
ঠিক কতোটুকু সময় ঘুমাচ্ছেন এবং সেই ঘুম কেমন হচ্ছে সেটা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি ঘুম যেমন খারাপ তেমনি খারাপ অল্প ঘুমও। যেমন একটা ব্যাটারিকে পুরোপুরি চার্জ দেওয়া হয়। রাতে ঠিক সময় মত ঘুমাতে যান
ও ভোর বা সকালে ঘুম
থেকে উঠে পড়ুন, অতিরিক্ত সময় বিছানায় অলাস্য সময় কাটাবেন না।
২.
হাঁটাচলা করুন
যারা
এক শতাব্দী কাল ধরে বেঁচে আছেন তারা প্রচুর হেঁটেছেন। আপনার যদি কায়িক পরিশ্রম কম হয় তাহলে সারাদিনে
অন্তত কিছুটা সময় হাটুন। সারাদিনে ৩০মিনিট হাঁটলেই তা আপনার শরীরের
পক্ষে খুবই উপকারী হবে। মানসিক পরিশ্রম আর কায়িক পরিশ্রম
কিন্তু এক নয় তাই
মানসিক পরিশ্রম করেই বসে পড়বেন না সাথে একটু
কায়িক পরিশ্রমও করুন।
৩.
আপনার লিভারকে একটু বিশ্রাম দিন
পরিমান মত
পানি পান করুন, অতিমাত্রায় চিনি যুক্ত খাবার পরিহার করুন। প্রয়োজন ছাড়া বা ডাক্তারের
পরামর্শ ছাড়া অযথা অসুধ খাবেন না।অতি মাত্রায় দুশ্চিন্তায় থাকলে খাবার খাবেন না তখনই
খাবার খাবেন না। প্রতিদিন একটু করে কফি খেতে পারেণ।
৪.
আপনার জিন সম্পর্কে জানুন
আপনার
পরিবারের বা বংশের অন্যান্য
সদস্যদের অসুখ বিসুখের ইতিহাস জানা থাকলে সেটা আমাদেরকে সুস্থ ও সুন্দর জীবন
যাপন করতে সাহায্য করতে পারে। কারন কিছু কিছু অসুস্থতা বংশানুক্রমিক ভাবেও হতে পারে। তাই আগে থেকে এ সকল রোগ
সম্পর্কে জানতে পারলে বেশি সর্তকতা অবলম্বন করা যায়।
৫.
কার্বোহাইড্রেটের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে
সবসময়
রিফাইন বা মসৃণ কার্ব
না খেয়ে বরং একটু জটিল ধরনের (মোটা আটার) কার্ব খাওয়ার কথা বলা হয়। যেমন বাদামী চাল, আস্ত শস্য দানা সমেত মোটা আটার রুটি।
৬.
প্রতিদিন হাসুন
আমাদের
মানসিকতার একটা পরিবর্তন প্রয়োজন, ইতিবাচক
মনোভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন
কিছু করুণ যা প্রতিদিন আপনাকে
হাসিখুশি রাখবে এবং নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা পরিহার করুন।
৭.
চাপমুক্ত থাকার রাস্তা খুঁজে বের করুন
এটা
খুবই ব্যক্তিগত। একেকজনের বেলায় একেক রকমের, কারো
চাপ পরিবার নিয়ে, কারো বা চাকরি নিয়ে,
একেক জনের একেক রকম চাপ। চেষ্টা করুন সমস্যা বা চাপ মুক্ত
থাকার। কোন গোড়ামি আকড়ে ধরবেন না, হোক সে পারিবারিক, সামাজিক
বা ধর্মীয়। নিজের কাজ ও পরিবার নিয়ে
খুশি থাকতে চেষ্টা করুন, পরিবারে সময় দিন। তবে সমস্যায় দীর্ঘদিন আটকে থাকলে বা জটিল হলে
বিশেষগ্যদের পরামর্শ নিন।
৮.
শরীর চর্চা
সম্ভব
হলে প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠুন ও একটু শরীর
চর্চা করুন। এতে শরীর যেমন ভাল থাকবে তেমনি মনটাও ফুরফুরা লাগবে সাথে দিন টাও ভাল যাবে।
৯.
খাদ্যঅভ্যাস
তার
চেয়ে ২০ ভাগ খাবার
কম খাবেন৷ এতে জীবনীশক্তি বেড়ে রক্তচাপ, কোলেস্টোরেল এবং ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমবে৷ যে কারণে লবণ
কম খাবেন:
রান্নায়
বা খাবারে অতিরিক্ত লবণ শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতাকে দুর্বল করে রক্তের চাপকে বাড়িয়ে দেয় তাই অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
প্রতিদিন
ফলমুল বা সবুজ শাক-সবজি রাখুন খাবার মেনুতে। পরিমান মত পানি পান
করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন